স্টিল লাইক অ্যান আর্টিস্ট বইটি সম্পর্কে কিছু কথা:
শিল্প হলো চুরিবিদ্যা।
পাবলো পিকাসো অপরিপত্ব কবি অনুকরণ করেন পরিপক্ব কবি চুরি করেন। বাজে কবি যা নেয় তা নষ্ট করে ভালো কবি যা নেন তা আরো ভালো করে তোলেন অন্তত আলাদা কিছু তৈরি করেন। ভালো কবি অতুলনীয় অনুভূতিতে তার চুরি সাজান চুরি করা জিনিস থেকে যা একদমই অন্যরকম।
স্টিল লাইক অ্যান আর্টিস্ট বই থেকে “আপনি কোথা থেকে আইডিয়াগুলো পান?।” প্রত্যেক আর্টিস্টকেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তিনি যদি সৎ হন তাহলে তার উত্তর হবে এইরকম, “আমি সেগুলো চুরি করি।” এখন প্রশ্ন হলো, একজন আর্টিস্ট আসলে দুনিয়াটাকে কিভাবে দেখেন? প্রথমত, আপনাকে বের করতে হবে কোন জিনিসটা চুরি করার যোগ্য, তারপর এগিয়ে যেতে হবে পরেরটার দিকে। এটাই আপনার মূল সূত্র। আপনি যখন এভাবে পৃথিবীটাকে দেখতে শুরু করবেন তখন কোনটা “ভালো” কোনটা “খারাপ” এ নিয়ে আপনি চিন্তা করা বন্ধ করে দিবেন –এখানে যা আছে তা হয় চুরি করার যোগ্য না হয়, চুরি করার অযোগ্য। এ পৃথিবীর প্রত্যেকটা জিনিসই চুরি করার মতো। যদি আজ চুরি করার তেমন কিছু না পান, তাহলে সেটা হয়ত আগামিকাল পাবেন অথবা একমাস পর কিংবা এক বছর পর। “আমি ঐ শিল্প নিয়েই পড়াশোনা করি যেগুলো থেকে আমি কিছু না কিছু চুরি করতে পারবো।
অস্টিন ক্লেওনের ‘স্টিল লাইক অ্যান আর্টিস্ট’ বইটি মূলত সৃজনশীল কাজের মৌলিকতার ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। ক্লেওন যুক্তি দেন সমস্ত সৃজনশীল কাজ, পূর্বের শিল্পকে অনুসরণ করেই এসেছে। সবকিছু তার উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়। এবং শিল্পীরা যে সেসব জায়গা থেকেই তাদের মৌলিক কাজগুলো ‘চুরি’ করে, তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করা উচিত। পাঠকরা কীভাবে তাদের নিজস্ব সৃজনশীলতা’কে জাগিয়ে তুলতে পারবে, বইটি সে ব্যাপারে অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ প্রদান করে। এটা সৃজনশীলতার ব্যবহারিক নির্দেশিকাও বলা যায়।
সহজে ভাল অভ্যাস গড়ে তোলা এবং খারাপ অভ্যাস দূর করে সফল হবার জন্য বইটি পড়তে পারেন “এটমিক হ্যাবিটস“