রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি সারমর্মঃ

“রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি” বইটি কাদের জন্য দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাতি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো। অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে?
যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায়। দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। বন্ধুত্বের ভাইরাস, ছুতার জং ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায়। তাদের জন্য এই বই। যাতে তারা সময়মতো কনফিডেন্সের বাড়ি গিলতে পারে, কোপা সামসু স্টাইলে ফাইট দিয়ে জীবন ঝাক্কাস বানাতে পারে।

রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি এই বইটির উদ্দেশ্য এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই প্রকার পড়বে তখনই রিচার্জ ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো।

“রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি” এটা কি ধরনের বই এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইসের বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইকে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই। বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে, প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের এই আমার টুক টুক করে এই বই লিখতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। কারণ বেশিরভাগ সময় ফ্যান। চালানোর জন্য কারেন্ট থাকতো না।

তার উপরে আমি যে মোবাইলে লিখতাম সেটার প্রসেসর, মেমোরি, সিমকার্ডসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও কিছুদিন পর পর সেটা আর চলতে চাইতো না। কারণ চার্জ শেষ হয়ে যেতো। তাই সেই মোবাইল রিচার্জ করতে করতেই আমি আমার চিন্তাভাবনা, কাজের স্পৃহা আর চেষ্টার আগ্রহকেও রিচার্জ করার ট্রাই করতাম। আর তাতেই পয়দা হয়ে গেছে প্রায় চল্লিশখানা লেখা। এই লেখাগুলাতে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। যেমনটা হয়ে থাকে চায়ের দোকানে, মেসের আড্ডাতে, পিকনিকের বাসে কিংবা ভ্যাম্পাসের করিডোরে।

রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি বইটি পড়ে নিজেকে।

প্যারাময় লাইফ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বইটি পড়ুন “প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল“