“দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট” বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখাঃ
দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট বইয়ের মূল কথাঃ
সকালে চোখ মেলে তাকিয়ে সবার আগে আপনি কি করে? গোসলে ঢোকেন, ইমেইল চেক করেন, নাকি রান্নাঘরের তাক থেকে একটা ডোনাট বের করে আগে কামড় বসান? আপনি গোসলের আগে ব্রাশ করেন, না গোসলের পরে? কোন জুতোর ফিতেটা আগে বারেন, ডান না বাম? বেরিয়ে যাওয়ার সময় সন্তানদের উদ্দেশ্যে কি বলেন? কোন রাস্তা ধরে অফিসের দিকে ড্রাইভ করেন? যখন নিজের ডেস্কে পৌঁছে যান, কি করেন সবার আগে? ইমেইলগুলো দেখেন? সহকর্মীদের কারও সাথে কথা বলেন, নাকি সরাসরি মেমো লিখতে ব্যস্ত হয়ে যান? দুপুরে খাওয়ার জন্য বেছে নেন সালাদ, না হ্যামবার্গার? বাড়ি ফিরে স্নিকার্স পরে দৌঁড়াতে ছোটেন নাকি একটা গ্লাসে উত্তেজক পানীয় ঢেলে বসে পড়েন টিভির সামনে?
আমাদের জীবনটা যতই নির্দিষ্ট কোনো ধারার বলে মনে হোক, আসলে অসংখ্য অভ্যাসের যোগফল। উইলিয়াম জেমস লিখেছিলেন ১৮৯২ সালে। প্রতিদিন যে পথগুলো আমরা বেছে নেই, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় খুব সচেতনভাবে গ্রহণ করা একেকটি সিদ্ধান্ত। তবে আসলে মোটেও তেমনটা নয়। ব্যাপারটা—এগুলো সবই অভ্যাস। আর প্রতিটা অভ্যাস আমাদের জীবনকে সরাসরি খুব সামান্যই প্রভাবিত করে। অথচ সময়ের সঙ্গে ওটার কারণেই নিয়ন্ত্রিত হয় আমাদের সবগুলো সিদ্ধান্ত।” কোন খাবার অর্ডার করছি আমাদের সন্তানদের কি বলে রাতে ঘুমাতে পাঠাচ্ছি, সঞ্চয় করছি না পুরোটাই উড়িয়ে দিচ্ছি অনুশীলন কেমন ঘন ঘ করছি, আমাদের চিন্তাগুলো কিভাবে সম্ভবদ্ধ করছি বা কাজের জন্য কোন রুটিনটা অনুসরণ করছি, সবই আমাদের স্বাস্থ্য, সৃজনশীলতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আর সুখের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
ডিউক ইউনিভার্সিটিতে একটা পেপার পাবলিশড হয়েছিল, ওতে ২০০৮ সালের গবেষকবৃন্দ উপসংহার টেনেছেন এভাবে মানুষ প্রতিদিন যে সব কাজ করে তাদের ৪০ শতাংশ সচেতনভাবে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়, বরং স্রেফ অভ্যাস।। উইলিয়াম জেমন হলেন সেই গোত্রের মানুষ যাদের মধ্যে পড়বেন অ্যারিস্টোটল থেকে ওপরাহ পর্যন্ত অসংখ্য ব্যাক্তিত্ব, যারা জীবনের প্রায় পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন অভ্যাসের অস্তিত্ব থাকার পেছনের কারণ অনুসন্ধানে। তবে মানুষের জীবনে অভ্যাসের কার্যপ্রণালি তেমন কিংবা আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। দ্য পাওয়ার অব হ্যাবিট