আত্মনিয়ন্ত্রণ সার-সংক্ষেপঃ
একজন মুসলিম ভালো কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখে আত্মনিয়ন্ত্রণ করেন। আত্মনিয়োগ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের এ প্রক্রিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা কিতনা ও শাহওয়াতের এ যুগে অনায়াসে বুঝে আসে। আমরা এমন এক যুগে বাস করছি, যেখানে ফিতনার ছড়াছড়ি—যেখানে কামনা- বাসনার আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। সে জন্য দৃঢ় আত্মনিয়ন্ত্রণ-শক্তি থাকতে হবে প্রতিটি মুসলিমের। এ আত্মনিয়ন্ত্রণ-শক্তি তাকে ফিতনার চোরাবালিতে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে। সাহায্য করবে কামনা বাসনার বিরুদ্ধে অটল-অবিচল থাকতে।
আত্মনিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের আবেগ ব্যক্তিত্বের একটি অংশ। আমরা যদি আবেগ লাগামহীনভাবে প্রকাশ করতে থাকি এর ফলে অন্যকে বিব্রত হতে হয়। যার ফল পরবর্তীতে সেটি আমাদের ব্যক্তিত্বের ওপরই প্রভাব ফেলে। আত্মসংযম হলো নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করার ক্ষমতা, অর্থাৎ নিজের আবেগ, আচরণ, আকাক্সক্ষা বা সহজভাবে শান্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা। এই ক্ষমতা আমাদের নিবিড়তা এবং দক্ষতার সাথে জীবনের প্রতিটি মহূর্তের মুখোমুখি হতে দেয়।
মানুষকে পরিপূর্ণতায় পৌঁছাতে হলে অবশ্যই তাকে আত্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মসংযম হয়ে সংশোধন হতে হবে। অর্থাৎ আত্মার সংশোধন করার পর তিনি সফলতা লাভ করবেন। আত্মসংযম করতে একমাত্র ইসলামের বিধানগুলো পালন করার মাধ্যমেই আত্মসংশোধন করা সর্বোত্তম; অর্থাৎ ইসলামিক বিধান বা হুকুম-আহকাম পালন করলে আমরা পরিপূর্ণতা লাভ করব এবং আমাদের আত্মসংশোধন হবে। কিন্তু সেটি কিভাবে হবে? এবং কোন পদ্ধতিতে করতে হবে; সেটি জানতে হবে?
একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি সে কোন পথে চলবে। তার কোন কাজগুলো প্রথমে করা প্রয়োজন এবং এরপর কোন কাজগুলো সম্পন্ন করা উচিত। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি এই কাজ সম্পন্ন করার পদ্ধতি উপলব্ধি করতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বর্ণিত বিধান আমাদের সামনে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর বিধান মোতাবেক আমল করতে পারব না। আপনি আত্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েকটি মাধ্যম পালন করুন