দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড সার-সংক্ষেপঃ
দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা আপনার অবচেতন মনের মিরাকল ঘটানো শক্তি আপনার আমার সামনেই রয়েছে এবং সেটা বহু বহু আগে থেকেই। চিরন্তন সত্য এবং জীবনের নিয়মনীতি সকল ধর্মের আগেই ঘটেছে। এ ভাবনা মাথায় রেখে আপনাকে এ বইটি পড়তে বলবো । কারণ বইয়ের সামনের অধ্যায়গুলোতে রয়েছে মনের অসাধারণ শক্তির এক আধারের কথা। এটি মানসিক এবং শারীরিক ক্ষত সারিয়ে তুলবে ভীত মনকে স্বাধীন করে তুলবে এবং দারিদ্র ব্যর্থতা, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদি সবকিছু থেকে আপনাকে মুক্ত করবে। শুধু আপনাকে যা করতে হবে তা হলো মানসিক এবং আবেগী ইচ্ছেগুলোর বাস্তবরূপ প্রকাশ । আপনার অবচেতন মনের সৃজনশীল শক্তি নিজ থেকেই সাড়া দেবে। আর কাজটা আজ থেকে, এখন থেকেই শুরু করে দিন । আপনার জীবনে দারুণ দারুণ সব ব্যাপার ঘটতে দিন। এ অভ্যাস বজায় রাখুন। সেদিন পর্যন্ত, যতদিন পর্যন্ত না আঁধার কেটে আপনার জীবনে অল করে ওঠে আলো ।
দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড বইটির ভূমিকা
সেবা প্রকাশনী থেকে একদা প্রকাশিত আত্মউন্নয়নমূলক বইগুলো একসময় বেশ পড়তাম। গল্পের ঢঙে লেখা বলে পড়তে ভালোই লাগত। তবে কখনও চিন্তা- করিনি এ ধরনের বই আমাকে অনুবাদ করতে হবে। মুক্তদেশের ভ্ররণ প্রকাশক জাবেদ ইমন একদিন যখন ড জোসেফ মারফির ‘The Power of Your Subconscious Mind” বইটি নিয়ে এসে অনুরোধ করতে লাগলেন, দাদা, বইটি পড়ে দেখুন। আপনার ভাল লাগবে। ভাল না লাগলে অনুবাদ করবেন না। আমি জাবেদ ইমনের চাপাচাপিতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বইটি নিয়ে বসলাম। দুটো অধ্যায় পড়ার পরে আবিষ্কার করলাম, সত্যি তো বেশ ভাল লাগছে। অবচেতন মনের এত ক্ষমতা আমি জানতামই না। এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম অবচেতন মনকে অজান্তেই নানান কমান্ড দিয়ে চলেছি, এবং তার ফলও পাচ্ছি। একটা উদাহরণ দিই তাহলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।
সবাই জানে আমি সারারাত জেগে লিখি এবং দিনের বেলায় ঘুমাই। এ অভ্যাসটি কিন্তু ভাল নয়। কারণ বেলা দুটা- তিনটার সময় ঘুম থেকে ওঠার পরে দিনের বেলা এক ঘণ্টা লেখার সময় পাওয়া যায় না। আমি ড. জোসেফ মারফি এ বইটি পড়ে জানলাম অবচেতন মনকে যদি হুকুম দেয়া যায় আমি অমুক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে চাই, তাহলে ঠিক সেই সময়েই ঘুম ভেঙে যাবে। আমি তা-ই করলাম। অবচেতন মনকে নির্দেশ দিলাম। আমি এখন থেকে দুপুর বারোটার মধ্যে ঘুম থেকে জাগতে চাই যাতে দিনের বেলা অন্তত ঘণ্টা দুই লিখতে পারি। বিশ্বাস করুন, এখন ঠিক বারেটার সময় আমার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে এবং আমি দিব্যি দিনের কিছুটা সময় লেখালেখিতে ব্যয় করতে পারছি। আমাকে শুধু ঘুমের অভ্যাসই বদলে দিতে সাহায্য করেনি, আরও কিছু অভ্যাস ত্যাগ করতে সহায়ক হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আপনারাও এ বইটি পড়ে। অবচেতন মনের অত্যাশ্চার্য তা কাজে লাগিয়ে নানান উপকার পাবেন। মুক্তদেশের প্রকাশক জাবেদ ইমন চাইছেন এ ধরনের আরও বই আমাকে দিয়ে অনুবাদ করাতে। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাব ভাবছি।