থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ বইটির মূল কথাঃ
ইংরেজি থেকে অনুবাদ করা হয়েছে-থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ হল নেপোলিয়ন হিল এবং রোসা লি বিল্যান্ডের লেখা একটি বই যা ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি একটি ব্যক্তিগত উন্নয়ন এবং আত্ম-উন্নতি বই হিসাবে প্রচারিত হয়েছিল। তিনি ব্যবসায়িক ম্যাগনেট এবং পরবর্তী-জনহিতৈষী অ্যান্ড্রু কার্নেগির একটি পরামর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে দাবি করেছিলেন।
মুক্তদেশ থেকে প্রকাশিত আমার ‘দ্য পাওয়ার অব ইয়াের সাবকনশাস মাইন্ড’ এবং ‘মাইন্ড রিডার’-এর আশাতীত সাফল্য লক্ষ করেই বােধকরি এর কর্ণধার ‘Think and Grow Rich’ বইটি আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রকাশকের কাছেই শােনা এবং এ বইটি পড়ে জেনেছি তা সর্বকালের সেরা বেস্ট সেলারের তালিকায় রয়েছে। এই একটি বই লিখেই গত শতকের ত্রিশের দশকে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেয়ে যান এর রচয়িতা নেপােলিয়ন হিল। বইটি সম্পর্কে অবশ্য বিশ্বের নামী দামি অনেক ব্যক্তিত্বই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
‘থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ এমন একটি বই যা বহু মানুষের মাঝে সম্পদশালী এবং ধনী হওয়ার আশা জাগিয়েছে এবং বইটিতে লেখা কিছু পরামর্শ ও নির্দেশাবলী অনুসরণ করে তাঁরা তাঁদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেও পৌছাতে পেরেছেন। আশা করা যায় আমাদের দেশের পাঠকরাও এ বই পড়ে উপকৃত হবেন বিশেষ করে যারা ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ‘থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ’ অনুবাদ করার সময় কিছু কিছু অধ্যায় আমার কাছে চর্বিত চর্বন মনে হয়েছে। একই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা। আর প্রচুর ব্যক্তিগত গল্প রয়েছে যেগুলাের কয়েকটি আমাকে আকর্ষণ করেনি, মনে হলাে পাঠককুলও খুব একটা মজা পাবেন না। অনাকর্ষণীয় কিছু ঘটনা তাই এখানে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রধান গল্পগুলাে কিছুই বাদ দেয়া হয়নি। আর চর্বি ঘেঁটে দিয়ে এর রসটুকু অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে। যদি পুরােটাই অনুবাদ করতাম তাহলে বইটির কলেবর অনর্থক বৃদ্ধি পেত এবং মনে হয় অনাবশ্যক কিছু বিষয় পাঠ করে পাঠক খুব একটা মজা পেতেন।
পরপর তিনটি আত্ম উন্নয়নমূলক বই অনুবাদ করতে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে। তা হলাে প্রায় প্রতিটি লেখকই কিছু কিছু বিষয় অনর্থক রাবারের মতাে টেনে লম্বা করেন। মেদ-চর্বিহীন একটি গ্রন্থ, তা আকারে ছােট হলেও শুধুমাত্র লেখনীর গুণে পাঠকপ্রিয়তা পেতে পারে। একই কথার পুনরাবৃত্তি পাঠকদের বিরক্তির উদ্রেক ঘটায়। সে যাই হােক যে উদ্দেশে প্রকাশক এ বইটি প্রকাশ করছেন তা সফল হলেই ভালাে। আশা করা যায় পাঠক বইটি পড়ে উপকৃতই হবেন।